বিচ্ছুরিত দৃশ্যের বিজলি-জানালায় ডুবে যাই। একগ্লাস বালির মতো মুঠোভর্তি বুভুক্ষুগুলো রীতিমতো পানযোগ্য লাগে......লাগে পাঠযোগ্য। বাসে যেতে যেতে জেনে বসে থাকি অনাহূত অলীকতার আরেক নাম সময়। এমন তো হয় এমন তো হয়ই-কতবার তুমি ভেবে নেমে গেছি ভুল চোখের জনারণ্য পাড়ে। ভুল মানুষের পিছে পিছে রেখে এসেছি ব্যস্ত চলার তুমুল কানাঘুষা। যদিও কোথাও যাওয়ার কথা থাকে-পকেটে না যাওয়া পথেরা থাকে-থাকে জঙধরা নগরের পরিচিত বারণ। অথচ এমন তো হয়-এমন তো হয়ই!
তোমার অবিবাহিত চোখ! জলসিক্ত পুরুষ জানে তার মানে কতটা শারীরিকতা-কতটা টানাপোড়ন। সহপাঠিনী, কতবার নাম জপলে তুমি চাইতে ভুলিনি। শেষমেশ-একছেলে বাঁকা চাঁদ। দূরত্বের ঠোঁটে অন্যজনম। লোমকূপে তুষ শুধু তুষ-মনে পড়ে? একদিন অচঞ্চল চঞ্চলেরা ফেনিয়ে উঠলো-চোখাচোখির রাজ্যপটে এসে দাঁড়ালো প্রেমানুভূতির প্রাচীন পুরোহিত। সে তার পৌরাণিক কণ্ঠে আওড়ালো সেই সে অরাধ্য শ্লোক- “বাঁকা চাঁদে কলঙ্ক থাকে না তবু জোছনায়- আকাশ হারিয়ে ফেলে খেই এ জনমে তা এ জনমেই!”
এমন সব গল্প নিয়ে কেউ কেউ বসে থাকে-কেউ থাকে......বাসজীবন! আজকাল পাল্টে যাওয়া মানুষের মতো হয়তো তোমার চোখ দেখে ভাববো-অবিকল তোমার মতো কেউ! ভাববো কি? কে জানে......গতির জানালায় ধুমসি রোদ। এখনো আনমনের দাবানলে পোড়াই ভুলে থাকার চোখের তাবিজ। বাস ছোটে......ক্ষমা নামের টুকরো গান বাতাসে গুনগুনায়......আমি পিছু ফিরি না......তবু যেতে যেতে অপেক্ষার এপিটাফে যদি কখনো চোখ পড়ে-যদি পড়ে তবে দেখো লিখে গেছি- “এইখানে একসময় ভালোবাসা ছিল!”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
পান্না ভাইয়ের স্বরে বলতে হচ্ছে- বাকরুদ্ধ। আমি সত্যিই বাকরুদ্ধ। কি কমেন্টস করব ভেবে পাচ্ছিনা। তবে এ লেখা যে আরও শতবার পড়লেও ভাললাগা হারাবেনা তা একবার পড়েই অনুধাবন করতে পেরেছি।
প্রজ্ঞা মৌসুমী
মন্তব্য থেকে জানলাম এটা কবিতা। "বাসজীবন' নামটা বেশ পছন্দ হলো। বাংলা না ইংরেজী 'বাস' এই মিষ্টি কনফিউশনটা মজা লাগলো। ভালো লাগলো মেটাফর, উপমা, লেখার গভীরতা। "বাসজীবন-১" মানে বাসে নানান অভিজ্ঞতা নিয়ে ধারাবাহিক কিছু তৈরি হতে যাচ্ছে? একটা পুরনো ইচ্ছা মনে আসলো আবার, অনন্ত-মিথিলা, শুভংকর-নন্দিনীর মত অনেক জুটি তৈরি হউক কবিতায়। এই ইচ্ছাটা থাকায় বোধহয় 'সহপাঠিনী'র বদলে কোন নাম চাইছিলাম। আবার 'সহপাঠিনী' না থাকলেতো মেয়ের ব্যাকগ্রাউন্ডটা বোঝা যেতনা। 'অবিবাহিত চোখ' তুলনাটা সুন্দর হইছে। 'বিয়ে নামের ট্রাজেডির' একটা হিন্টসও পেলাম। আচ্ছা ২ জায়গায় যে কোটেশন দিলে, কেন বলো তো? ব্যাকরণ সবসময় মাথায় থাকে না। আমিতো প্রথমে ভেবেছিলাম অন্য কারো লেখা... "একসময় ভালোবাসা ছিল"- 'ছিল' শব্দে খারাপ লাগতেও গিয়ে লাগলো না.. ভালোবাসার ক্ষয় সবসময় বোধহয় খারাপ না।
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন)
আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো লেগেছে বিশেষ করে এই লাইন গুলো (তোমার অবিবাহিত চোখ! জলসিক্ত পুরুষ জানে তার মানে কতটা শারীরিকতা-কতটা টানাপোড়ন। সহপাঠিনী, কতবার নাম জপলে তুমি চাইতে ভুলিনি। শেষমেশ-একছেলে বাঁকা চাঁদ। দূরত্বের ঠোঁটে অন্যজনম। লোমকূপে তুষ শুধু তুষ-মনে পড়ে? একদিন অচঞ্চল চঞ্চলেরা ফেনিয়ে উঠলো-চোখাচোখির রাজ্যপটে এসে দাঁড়ালো প্রেমানুভূতির প্রাচীন পুরোহিত। সে তার পৌরাণিক কণ্ঠে আওড়ালো সেই সে অরাধ্য শ্লোক-
“বাঁকা চাঁদে কলঙ্ক থাকে না
তবু জোছনায়-
আকাশ হারিয়ে ফেলে খেই
এ জনমে তা এ জনমেই!”) ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।